ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী রাকিব হাসান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন ক্রিকেটার নাসির আদালতে হাজিরা দেন। তবে তামিমা উপস্থিত ছিলেন না। নাসিরের উপস্থিতিতে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি নাসির-তামিমাসহ তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। এরপর তাদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতির আবেদন করেন আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
তবে এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন নাসির ও তামিমা। অন্যদিকে তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করে বাদীপক্ষ। শুনানি শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ রিভিশন খারিজ করে দেন।
একই সঙ্গে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ বহাল রাখেন। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মীর স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। এরপর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে দোষী উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।
জেএন/এমআর