পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ে কঠোর হচ্ছে জেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (২০ মার্চ) দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা অভিযানে বিক্রয় রশিদ সরবরাহ না করা এবং পন্যের মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করার অপরাধে চার মামলায় চার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত।
তাছাড়া ক্রয় বিক্রয় মূল্যের তালিকা ও রশিদ সংরক্ষণ এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলম রানা ও মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে আরএম ট্রেডার্সকে বিক্রয় রশিদ সরবরাহ না করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও খেজুর, ছোলা ও চিনিসহ রমজানে অধিক চাহিদা সম্পন্ন বিভিন্ন পন্যের মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই প্রতিনিধিদের দ্বারা ওজন স্কেল এর সঠিকতা যাচাই করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট জামসেদ আলম রানা বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্যারের নির্দেশে মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোট ৪০টি মনিটরিং টিম নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করবেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন “অনেক পাইকারি বিক্রেতা বিক্রয় রশিদ সরবরাহ করে না এবং অনেকে বাজার পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করছে বলে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন,বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। প্রাথমিকভাবে জরিমানা দন্ড প্রদান করলেও ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধে জেলে প্রেরণ করা হবে।
ক্যাব, কৃষি বিপনন কর্মকর্তা, বিএসটিআই, দোকান মালিক সমিতি ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর প্রতিনিধিবৃন্দ এ অভিযানে সহায়তা করে।
তাছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দের আইনগত নির্দেশনা পালনের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
জেএন/পিআর