সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তা সত্ত্বেও আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি।
আজ বুধবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য কমছে, আস্তে আস্তে আরও কমবে। এ ঊর্ধ্বগতি সারা দুনিয়ায়। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়। দেখুন ফ্রান্স, জার্মানির কী অবস্থা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সারা দুনিয়াতে কস্টটা (খরচ) আছে। বাংলাদেশেও কস্ট আছে। আমরা বেশি দামে কিনি অল্প দামে বিক্রি করি, এটাই তো বাস্তবতা।
কাদের বলেন, কস্ট অব লিভিংয়ের জন্য সারা দুনিয়াতেই কস্টটা আছে। কস্ট শুধু বাংলাদেশে না। বাস্তবতাকে অস্বীকার করছি না। জিনিসপত্রের দাম এখন কয়েকটার কমেছে এবং আরও কমবে। সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চলছে।
অন্য দেশে এক রাতের ব্যবধানে দেড়শ টাকার মুরগি আড়াশ টাকা হয় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম হয়, ইংল্যান্ডেও হয়েছে। এ অনিয়মগুলোর মধ্যে নিয়মও হচ্ছে। অভিযান তো চালাতে হবে। রমজান আসলে এ সময়টাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে। এসব বিষয় আমাদের দেশে নতুন নয়। আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। তবে সরকার চুপ কর বসে আছে, তা তো নয়। সরকার তার দায়িত্ব পালন করছে। অ্যাকশন কিন্তু হচ্ছে।
সিন্ডেকেটের বিরুদ্ধে এতো উদ্যোগের পরও রেজাল্ট হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজাল্ট না পেলে বাংলাদেশ অনেকের তুলনায় ভালো আছে এমন বলা যেতো না। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, চীনের প্রেসিডেন্ট, জো বাইডেনের স্টেটমেন্টে বাংলাদেশ এবং সরকার নিয়ে- এমনি তারা আশা করে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলেছে বাংলাদেশ যেভাবে এগুচ্ছে খুব দ্রুতই রিজনাল লিডার হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হবে। বাংলাদেশে এ প্রশংসাগুলো কি শূন্য থেকে হচ্ছে? বাংলাদেশে প্রোগ্রেস থেমে থাকলে বিশ্বের বড় বড় দেশের নেতারা বাংলাদেশে প্রশংসা করে কেন? এগুলো কি অমূলক? হাওয়া থেকে করে তারা? আমি একটা কথাই বলব আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। এখানেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেটা আমি অস্বীকার করছি না, সেটা স্বীকার করেই আমি বলছি আমরা অনেক ভালো আছি।
জেএন/এমআর