তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘দেশ এখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। আগে মানুষ আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য। আর এখন মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হওয়ায় এখন মাছ-মাংসের দাম কমানোর জন্য দাবী তুলে।
তিনি বলেন, তৃণমুলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে গঞ্জে মহল্লায় আমাদের দলকে এই নেতারাই ধরে রেখেছেন। তাই নিজেরাই নিজেদের সমালোচনা না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত চার ইউনিয়নের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেই, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রীজের উপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনাসহ কোন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাওয়া যায়নি, তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে সরকারের অভুতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কারণে। তৃণমূলের নেতারাও সরকারের এসব উন্নয়নের দাবীদার। আমাদের দলের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের প্রকাশ্যে শায়েস্তা করতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চেয়ারম্যান আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আকতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, নিজাম উদ্দিন বাদশা, এম এ মান্নান চৌধুরী, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রউফ মাস্টার, আহসান হাবীব প্রমুখ।
জেএন/এমআর