চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চম্পা চাকমা নাসে এক এনজিওকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর সিলেটে হোটেল বয় সেজে আত্মগোপনে ছিলেন খুনের প্রধান আসামি মো. এনামুল হক এনাম।
হত্যাকান্ডের প্রায় একমাস পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এনামের অবস্থান সনাক্ত সিলটের জৈন্তাপুরের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেখানে দুশ টাকা দৈনিক বেতনে হোটেল বয়ের কাজ করছিলেন খুনী এনাম।
গ্রেফতার মো. এনামুল হক রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে।
সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হলেও আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।
তিনি জানান, কিস্তির টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় রাঙ্গুনিয়ায় প্রকাশ্যে এনজিওকর্মী চম্পা চাকমার শ্বাসনালীতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. এনামুল হক এনামকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৫ মার্চ রাতে অফিসে কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সহকর্মী সপ্তর্ষী চাকমাসহ বের হয়েছিলেন ওই এনজিওকর্মী। সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়েছিল ঘাতক এনাম।
ঋণের কিস্তি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এনাম পেছন থেকে চম্পা চাকমার গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহত চম্পা চাকমার বোন জামাই সোহেল চাকমা বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. এনামুল হককে আসামি করা হয়।
চম্পা চাকমা রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পদক্ষেপ লালানগর শাখায় কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘাতক এনাম তার বোনের মাধ্যমে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলো। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই ঋণের একটি কিস্তি দেওয়ার কথা থাকলেও সে পরিশোধ করতে পারেনি।
চম্পা ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য বার বার তাগাদা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এনাম ছুরিকাঘাত করেছিলেন।
জেএন/পিআর