নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে পটিয়া উপজেলা ও থানা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) উপজেলা সদরের মুন্সেফ বাজারে বাজার থেকে অভিযান শুরু হয়।
বাজার মনিটরিং করতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাজীবুল ইসলাম এবং ওসি রেজাউল করিম মজুমদার দেখতে পান অনেক দোকানেই মূল্য তালিকা নেই।
যেগুলোতে আছে সেখানে পণ্যমূল্যের দামের সাথে মূল্য তালিকা প্রদর্শন বোর্ডের সাথে মূল্যের মিল নেই। এক দোকানে যে দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে পাশের দোকানে বিক্রি হচ্ছে তার চেয়ে কম বা বেশি দামে।
এছাড়া পাইকারি বাজারে যেখানে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজিতে, সেখানে কোন কোন দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কোথায়ও ১৫০ টাকায়। কোথায়ও আবার ন্যায্যমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় বিস্ময় প্রকাশ করেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি এসময় বেশকিছু দোকানিকে সতর্ক করা ছাড়াও জরিমানা করেন।
মুরগীর দোকানে গিয়ে দেখা যায় ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়। আবার পাশের দোকানে ২০০ টাকায় বিক্রি করায় দোকানীকে জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল মামুন জানিয়েছেন, বাজারে নিত্যপণ্যের কোন ঘাটতি নেই। কিছু অসাধু লোক বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে খেয়াল খুশিমত দাম বৃদ্ধি করছে।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে প্রশাসন অভিযান অব্যহত রাখবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীবুল ইসলাম।
ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, পুলিশ ও প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। যারাই পণ্যের ঘাটতি ও দাম নিয়ে গুজব ছড়াবে তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে।
জেএন/সঞ্জয়/পিআর