ইসরায়েলের জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে থাকা বিশাল সংখ্যক প্রার্থনারত মুসল্লিদের উপর আক্রমণ করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এই ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, আজ বুধবার ভোরে ইসরায়েলি পুলিশ দাঙ্গা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যেজনিত কারণ দেখিয়ে আল-আকসা মসজিদে অভিযান চালায়। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে, তবে কতজন আহত হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি তারা। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের চিকিৎসকদের আল-আকসায় যেতে বাধা প্রদান করছে।
মসজিদে থাকা একজন বয়স্ক মহিলা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি একটি চেয়ারে বসে তিলাওয়াত করছিলাম। মসজিদের বাইরে বসে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। কারণ তারা স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করছিল যার মধ্যে একটি আমার বুকে আঘাত করে।”
ইসরায়েলি পুলিশ তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা আতশবাজি, লাঠি এবং পাথর নিয়ে মসজিদে লুকিয়ে ছিল। ফলে মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। তারা জানায়, “পুলিশ মসজিদে প্রবেশ করলে তাদের দিকে পাথর ও আতশবাজি ছুড়তে শুরু করে আন্দোলনকারীদের একটি বড় দল।” এই ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেছেন, “আমরা পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলিতে সীমারেখা অতিক্রম করার বিষয়ে দখলদারদের সতর্ক করছি।”
জেরুজালেমের খ্রিস্টান, ইহুদি এবং মুসলিমদের পবিত্র স্থান আল-আকসা প্রাঙ্গনে বহু আগে থেকেই নানা সময়ে নানা কারণে হামলা হয়ে আসছে। বিশ্বের বেশ কিছু রাষ্ট্র থেকে বভিন্ন সময় এধরনের হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এদিকে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আল-আকসা উপাসকদের ওপর ইসরায়েলের নিস্পৃহ হামলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
জেএন/এমআর