তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম লাফিয়ে লাফিয়ে যে বক্তব্য দেই কিংবা গয়েশ্বর বাবু শরীর দুলিয়ে দুলিয়ে যা বলে, তা টেলিভিশনে (টিভি) দেখা যেত না, যদি আওয়ামী লীগ গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা না করতো। আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে বলে মির্জা ফখরুলদের টিভিতে দেখা যাই।
তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়া থেকে যারা লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে বিএনপির মিছিলে যান তারা যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন সেটিও আওয়ামী লীগের করা। তারা যে মসজিদে নামাজ পড়ে সেখানেও আওয়ামী লীগের অনুদান রয়েছে। কিংবা যেই স্কুল ভবনে বসে তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করছে সেটিও আওয়ামী লীগের গড়া।
বুধবারে (৫ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভোটের সময় তারা আবার আসবে, নানা সমালোচনা করবে। তাদের জিজ্ঞেস করবেন আওয়ামী লীগ যে রাস্তাগুলো করেছে সেগুলোতে গর্ত হলে ভরাট করতে পারবে কিনা? তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। যদি গর্ত ভরাটের জন্য টাকা আসে, সেগুলো দিয়ে নিজেদের পকেট ভরাট করে ফেলবে। অতীতেও তাই করেছিল তারা।
তৃণমূল নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের নেতারাই যুগে যুগে দলকে রক্ত সঞ্চালন করে আওয়ামী লীগকে ঠিকিয়ে রেখেছে। গ্রামে গঞ্জে মহল্লায় আমাদের দলকে আপনারাই ধরে রেখেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে দেশ বদলে গেছে। মূল সড়ক নয় এখন মানুষের ঘরে ডুকার রাস্তাও পাকা হয়েছে। এসব উন্নয়নের দাবীদার আপনারাও। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এসব উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং ফারুক আহমেদ তালুকদার ও মাহমুদুল হাসান বাদশার সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মুহাম্মদ আলী শাহ, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, নিজাম উদ্দিন বাদশা, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, একতেহার হোসেন, জামাল উদ্দিন, মীর গোলাম মোস্তফা বাবুল, মোহাম্মদ ইউনুচ প্রমুখ।
জেএন/এমআর