এক কেজি জিলাপির দাম ২০ হাজার টাকা!

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে প্রতি কেজি জিলাপির দাম রাখা হচ্ছে ২০ হাজার টাকায়। শুনেই চক্ষু কপালে। ভুল শোনেননি, সত্যিই বিক্রি হচ্ছে।

- Advertisement -

বিশেষ এই জিলাপি ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে মোড়ানো। সে জন্যই এত দাম। আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) থেকে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এটি বিক্রি শুরু হয়েছে।

- Advertisement -google news follower

রমজান উপলক্ষে এই জিলাপি তৈরি করা হয়েছে। সাধারণ গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার (৫ এপ্রিল) থেকে এই জিলাপি বিক্রি শুরু হয়েছে।

প্রতি কেজি জিলাপিতে ২৪ ক্যারেটের খাবার উপযোগী সোনার ২০ থেকে ২২টি লিফ বা পাতলা পাত থাকবে। একজন গ্রাহক ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম জিলাপি কিনতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দাম পড়বে পাঁচ হাজার টাকা।

- Advertisement -islamibank

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সোনার জিলাপি বিক্রির ব্যাপারে নিজেদের ফেসবুক পেজে জানায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল। এর পর থেকে বেশ সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছে তারা।

হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইতিমধ্যে ৫-৬ জন গ্রাহকের অর্ডার সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু অর্ডার তাদের কাছে আছে।

রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন ইফতার ও সাহ্‌রির আয়োজন করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা। সেখানে ইফতারিতে ডেজার্ট হিসেবে ঐতিহ্যবাহী জাফরান জিলাপি পরিবেশন করে ঢাকার বিখ্যাত এই হোটেল।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ফেসবুক পেজের তথ্যানুসারে, সাধারণ জাফরান জিলাপির দাম রাখা হয় কেজিপ্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা করে। তবে সোনায় মোড়ানো জিলাপি খেতে হলে গ্রাহককে খরচ করতে হবে ২০ হাজার টাকা। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজানে ভোক্তাদের ভিন্ন কিছুর স্বাদ দিতেই এ আয়োজন।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার মহাব্যবস্থাপক অশ্বিনী নায়ার জানিয়েছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, খাদ্য ও পানীয় এখন আর শুধু খাওয়ার বিষয় নয়। মানুষ এখন আর শুধু নামেই বিলাসিতা পেতে চায় না। তারা বিলাসী পণ্যের অনন্য স্বাদ ও অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে চায়।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল এ ধরনের অভিজ্ঞতা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি গ্রাহকদের সেই বিলাসিতা উপভোগের সুযোগ দিতে চায়। সে জন্যই বিশেষ এ জিলাপি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যবহারযোগ্য সোনা ছাড়াও আরেকটি বিশেষ ধরনের সোনা আছে, যা খাওয়াও যায়। সেটিই ব্যবহার করা হয়েছে এই জিলাপির রেসিপিতে।

খাওয়ার সোনা দুবাইসহ বিশ্বের ধনী ও সোনাসমৃদ্ধ শহরগুলোয় জনপ্রিয়। দামি এই ধাতু পুষ্টিগুণসমৃদ্ধও। সোনা ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, জিংক, কপার ও সেলেনিয়ামের উৎস। নবাবি খাবারে সোনা ব্যবহারের রীতি ছিল।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM