চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিপণী বিতানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। মাসের শুরুতে সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবিদের বেতন হওয়ায় ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের।
পছন্দের ঈদ পোশাক কিনতে সকাল ১০টা থেকে রাত অবধি মার্কেটে ঘুরছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিপনি বিতানগুলোতে। তবে এখনো অনেক ক্রেতা দরদামেই সীমাবদ্ধ থাকছেন।
দরদাম বনলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পাঞ্জাবী কিংবা শার্ট। তবে অনেকেই জুতা কিনতে দেখা গেছে। নারীদের পোষাকের সাথে সাথে কসমেটিকসের দোকানেও ভিড় বাড়ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুপুরে ও রাতে তারাবির পর ক্রেতাদের পদচারণায় ও বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে মার্কেটগুলো। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে বিক্রেতাদের পোশাক সংগ্রহেরও কমতি নেই।
তবে অধিকাংশ ক্রেতার অভিযোগ এবার পোশাকের দাম অন্যান্য বছরের তূলনায় অনেক চড়া। তাই তারা শিশুদের অগ্রাধিকার দিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছেন। শিশুদের দেয়ার পর যদি বাজেটে কুলায় তাহলেই নিজের জন্য কিনবেন।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, করোনার দুই বছরের ধাক্কা সামলে নিয়ে তারা যেভাবে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু পাইকারি বাজারে পোশাকের দাম ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের দাম বৃদ্ধি করতে হয়েছে। ফলে যে পরিমাণ বেচাকেনা হওয়ার কথা তা হচ্ছেনা।
পটিয়ার সবচেয়ে বড় শপিং মল বড় বাজারের ম্যানেজার এনামুল হক জানিয়েছেন তাদের সারা বছরেই ব্যবসা হয়। যেহেতু এক ছাদের নিচে পোশাক থেকে জুতা কসমেটিকস সব পাওয়া যায় সেহেতু ক্রেতাকে আর বাইরে যেতে হয়না।
আরেকটি বড় শপিংমল লুলুর পরিচালক মো: আশ্রাফ জানিয়েছেন তারা ন্যায্যমূল্যে সব ধরনের পণ্য বিক্রি করছেন বলে ক্রেতাদের ভিড় তাদের শপিং মলেই লেগেই আছে। তবে সেখানে পণ্য ফেরত না নেয়ার অভিযোগ করেছেন উপস্থিত ক্রেতাসাধারন।
বুধবার (৫ এপ্রিল) পটিয়ার ঈদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিউ মার্কেট, আলম প্লাজা, রহমান মার্কেট, তৈয়বিয়া মার্কেট, চৌধুরী সুপার মার্কেট, এন জে শপিং কমপ্লেক্স, শাহ আমির মার্কেট, গুলজার মার্কেট,আর এন মার্কেট,পটিয়া সিটি সেন্টার,দেলা মিয়া মার্কেট, মনে রেখসহ পটিয়ার ছোট বড় অলি গলি সব ধরনের দোকানগুলোতে ক্রেতা রয়েছেন।
গৃহিণী রেহেনা আকতার মুন জানান, এখনো দোকানদাররা দাম ধরে বসে আছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি।
দাম বেশি চাওয়া নিয়ে রেডিমেট কাপড়ের দোকানের কর্মচারী সবুজ জানান, বর্তমান সময়ে সবকিছুর দাম বেশি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে সে হিসাবে আমি মনে করি দাম তেমন বাড়েনি।
ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রন সহ ঈদ বাজারকে নির্বিঘ্ন করতে পটিয়া থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি রেজাউল করিম মজুমদার।
জেএন/সঞ্জয়/পিআর