ছয় মাস পর ভারতে হতে যাওয়া ক্রিকেটের মহা ইভেন্টে ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোন কোন দল সরাসরি অংশ নেবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় এখনও তিনটি দল লড়ে যাচ্ছে। সেই দৌড়ে রয়েছে দক্ষিণ-আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পরাশক্তি দলগুলো। ইতোমধ্যে সেই দৌড় থেকে ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কা। তাদের খেলতে হবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। যেখানে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) থাকছে না এবার।
আজ থেকে ঠিক এক যুগ আগে (২ এপ্রিল ২০১১) ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। বিশ্বকাপ জয়ের যুগপূর্তির বছরে আরেকটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আর সে উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন করেছে আইসিসি।
ইতোমধ্যে ৭টি দল ভারত বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ও স্বাগতিক ভারতসহ ওই সাত দলের মধ্যে আরও রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তান। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার জন্য এখনও বাকি একটি স্পট। সেই স্পটের জন্য লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আয়ারল্যান্ড।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাছাইপর্ব খেলবে ১০টি দল। তাদের মধ্যে রয়েছে আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের সবচেয়ে নিচে থাকা পাঁচ দল (নেদারল্যান্ডস, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা/আয়ারল্যান্ড)।
বাছাইপর্বের প্লে-অফ থেকে কোয়ালিফাই করা দুই দল (আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র) এবং আইসিসির বিশ্বকাপ ক্রিকেট লিগ ২ এর শীর্ষ তিন দল (নেপাল, ওমান এবং স্কটল্যান্ড)।
গতবারের মতো এবারের বাছাইপর্ব ম্যাচেও থাকছেনা ডিআরএস। এর আগে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে তো টিভি আম্পায়ারিংয়েরও সুবিধা ছিল না। তবে এবার সকল ম্যাচে থাকবেন টিভি আম্পায়াররা।
তবে এবারই শেষবারের মতো ১০ দলের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরবর্তী আসর থেকে প্রতিযোগী দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪ করা হবে।
জেএন/পিআর