নিম্নমানের ধানের তুষ (কুড়া), ক্ষতিকর রং ও ইটের গুঁড়ো মেশানো হতো মরিচের গুঁড়োয়। সেই মরিচের গুঁড়ো বিক্রি করা হতো ভেজালমুক্ত বলে।
বান্দরবান জেলা লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নে চাম্বি মফিজ বাজারের শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে মরিচের মিলে ভেজালযুক্ত এ নিত্য পণ্যটি বিক্রি করার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে মিল মালিক তাপস সেনগুপ্ত প্রকাশ সঞ্জয়।
জানা গেছে, এই এলাকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার জেলাতে সাধারণত মেজবানের জন্য এসব মিল থেকেই বেশি পরিমাণে মসলা সরবরাহ করা হয়।
এছাড়া বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো অনুষ্ঠানেও মসলা সরবরাহ করার অর্ডার পেয়ে থাকে তারা। এর বাইরে খুচরা ও পাইকারিভাবেও হলুদ-মরিচের গুড়াসহ মসলা বিক্রি হয়।
বাজারের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, তিনি প্রায় ৭/৮ বছর যাবত হলুদ ও মরিচের গুড়া বিক্রয় করা যাচ্ছেন তাপস সেনগুপ্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান এলেই এ ধরনের ভেজাল মসলার চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আবার এসব ভেজাল মসলার বড় ক্রেতা হলো বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁগুলো।
সরাসরি মিলমালিকদের কাছ থেকে তারা পাইকারি দামে এসব মসলা সংগ্রহ করেন। হোটেল রেস্তোরাঁয় এসব ভেজাল মসলা ব্যবহারের কারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের হানি ঘটছে।
অভিযুক্ত সঞ্জয় স্বীকার বলেন, তিনি আর এই ব্যবসা করবেন না, তাকে এবারের মতো ক্ষমা করে দেওয়া হোক।
বাজার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সে যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমার যোগ্য নয়, আমরা উপজেলা প্রশাসন এবং থানাতে অবহিত করেছি আশা করি তারা প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসীম উদ্দীন বলেন, আমাদের এলাকায় এই ধরনের খাদ্য ভেজাল মেনে নিতে পারছি না, আমরা তার সর্বোচ্চ সাজা দাবি করছি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কেউ অভিযোগ করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জেএন/পিআর