ঈদকে সামনে রেখে ৯ বছর বয়সী ছেলে মিনহাজের আবদার মেটাতে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে ঈদ কেনাকাটা সেরেছেন মিরসরাইয়ের ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বড়কমলদহ এলাকার উকিল বাড়ির শহিদুল্লাহর ছেলে মো. সেলিম (৪০)।
তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। বাবা-ছেলে দুজনের কেউই বাড়ি ফিরতে পারেনি। মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের জীবন প্রদীপ চিরদিনের মতো নিভে গেছে। ঈদের জামা কাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে সড়কে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগারহাট বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণহীন একটি কাভার্ডভ্যানের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা-পুত্র দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ঘটনায় নির্মল নামে একজনসহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত মো. সেলিম মিরসরাইয়ের ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বড়কমলদহ এলাকার উকিল বাড়ির শহিদুল্লাহর ছেলে ও মিনহাজ তার নাতি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বড় দারোগারহাট থেকে মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে যাত্রী বোঝাই একিটি সিএনজি অটোরিকশা উল্টো পথে মিরসরাইয়ের দিকে যাচ্ছিলেন।
এমন সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। কাভার্ডভ্যানটি সিএনজি অটোরিকশার দিকে এগিয়ে আসতে দেখে চালক সিএনজি ইসটিয়ারিং ছেড়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী জমিতে লাফ দেয়।
চালক বিহীন সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারানো কাভার্ড ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।
দূর্ঘটনায় আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নির্মল (২০) নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেকে প্রেরণ করেন।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল্লাহ দুর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের জিম্মায় দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে জানালেন সীতাকুণ্ডের কুমিরা-টেরিয়াইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহাদাত হোসেন।
জেএন/পিআর