চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে সোডা অ্যাশ লাইটের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আনা এক কনটেইনার শাড়ি ও লেহেঙ্গা আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্রায় এক কোটি ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানায় কাস্টমস কর্মকর্তারা।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাস্টমস সূত্র জানায়, ফেনী সদর উপজেলার সওদাগর পট্টির এলাকার আমদানিকারক আজিজ এন্টারপ্রাইজ ভারতের কলকাতা থেকে চালানটি আমদানি করেছে। কথা ছিল এক কনটেইনার সোডা অ্যাশ লাইট আমদানি করা হবে। কিন্তু মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির আগাম তথ্য পেয়ে কনটেইনারটি জাহাজে থাকা অবস্থায় ৪ এপ্রিল অ্যাসাকুইডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল লক করে দেয় কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা। পরে কনটেইনারটি বন্দরে পৌঁছালে বিশেষ হেফাজতে রাখা হয়।
সোমবার (১০ এপ্রিল) কনটেইনারটি ফোর্স কিপ ডাউন করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা। এতে কনটেইনারটিতে ১২ হাজার ৫৫০ পিস বেনারসি শাড়ি, ১ হাজার ১৩৯ পিস জর্জেট শাড়ি ও ৪০৩ পিস লেহেঙ্গা পাওয়া যায়। এ জাতীয় ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার ওপর উচ্চ শুল্কহার প্রযোজ্য থাকায় আলোচ্য পণ্যচালানটিতে আমদানিকৃত ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার বিপরীতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ প্রায় এক কোটি ৪১ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) মো. সাইফুল হক বলেন, ঈদুল ফিতরে ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে পণ্যচালানটি আমদানি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বল্প মূল্যের সোডা অ্যাশের পরিবর্তে মিথ্যা ঘোষণায় উচ্চ মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা আমদানি করায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
জেএন/এমআর