চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে মো. জনি (২৪) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জনির মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে । হাসপাতালে মৃত মো. জনি দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি অটোরিকশাটির চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।
তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে নিহতের স্বজন মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল দুর্ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে পরে নগরীর বেসরকারী ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জনির মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আরাকান মহাসড়কের রায়খালী এলাকায় নেত্রকোনাগামী (ময়মনসিংহ–ব–১১–০১৭৬) বাসের সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা (চট্টগ্রাম থ–১৪–৮১৮৪)র মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলে চারজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজি চালক জনির মৃত্যু হলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাড়ায়।
নিহতরা হলেন, নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পূর্ব মাদারবাড়ী দারোগাহাট রোড ও ফটিকছড়ি এলাকার বাসিন্দা জালাল আহমদের ছেলে মো. সেলিম (৪৫), মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের মো. আদিলের স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (৩৫), পটিয়া করনখাইন গ্রামের বলরাম দে’র ছেলে বাবুল দে (৬০), কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে আবু ফয়েজ (২৫), পটিয়া দৌলতপুর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. করিম (৫৪) ও সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. জনি (৩৭)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি নেত্রকোনা থেকে বুধবার ভক্তদের নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলা হাওলা দরবারের ওরশে এসেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাসটি ভক্তদের নিয়ে গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছিল।
কালুরঘাট সেতু দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেটি পটিয়া হয়ে শাহ আমানত সেতুর দিকে রওনা দেয়। বাসটি আরাকান মহাসড়কের রায়খালী এলাকায় পৌছালে অপর দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়।
এতে অটোরিকশার চালকসহ চার যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে একজন মারা যায়। হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন থাকে অটোরিকশার চালক মো. জনি। আজ বিকেলে সেও না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ঘটনাস্থলে নিহত অটোরিকশা যাত্রী পোস্টমাস্টার আব্দুল করিমের স্ত্রী রোকসান।
সড়ক পরিবহন আইনে দায়ের করা এ মামলায় পুলিশ বাসটির চালক জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক।
গ্রেফতার জাকির নেত্রকোনা জেলার মদন থানার গোবিন্দ ইউনিয়নের মোবারক বাড়ির আবদুল হাশেমের ছেলে।
জেএন/পিআর