ঢাকার পর এবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে আগামী পহেলা মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন সফরের কথা রয়েছে।
এই সফরে সংস্থার নতুন এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ছাড়াও বৈঠক হবে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্সি টেম্বনের মতে, বাংলাদেশের সাফল্যের উদাহরণ বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
স্বাধীনতার পর দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বড় ভূমিকা রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর সাথে সংস্থার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ম্যাকনামার বৈঠকের ১১ মাসের মাথায় ৫ কোটি ঋণের মাধ্যমে শুরু হয় দু’পক্ষের সম্পর্ক।
আর গেলো ৫০ বছরে সংস্থাটির প্রতিশ্রুতি দাঁড়িয়েছে ৩৮৯ কোটি ডলারে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা খাতে বর্তমানে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা আছে বিশ্বব্যাংকের। সংস্থার হিসাবে চলমান ৫৫ প্রকল্পে বিনিয়োগ আছে প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে ওয়াশিংটন আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের প্রত্যাশা, এই সফরে নতুন মাত্রা পাবে দু’পক্ষের সম্পর্ক।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্সি টেম্বন মনে করছেন, বাংলাদেশে সাফল্য এখন বিশ্ব স্বীকৃত। এই অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর সফর।
টেম্বন বলেন, প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাংকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আসছেন এতে ভীষণ আনন্দিত আমি। এদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন কেউই বিশ্বাস করেনি, এ দেশ টিকে যাবে।
বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে উন্নয়ন ঘটাতে হয়, এমন কি প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষগুলোর জন্যও কিভাবে সেবা নিশ্চিত করতে হয়। ৫০ বছরের এ সম্পর্ক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বব্যাংকের কাছে। এদেশ জন্মলগ্ন থেকে বিশ্বব্যাংক পাশে থেকেছে, থাকবেও।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং বোর্ড পরিচালক ছাড়াও, নতুন প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সাথেও সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এর আগে, গেলো জানুয়ারিতে ঢাকা সফর করেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভ্যান ট্রটসেনবার্গ।
জেএন/পিআর