সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতার খেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে তিন শ্রমিক। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ওয়ালটন কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি থানার কুরকি মধ্যপাড়া গ্রামের বুদ্ধু মিয়ার ছেলে শেখ ফরিদ হোসেন (৩০), টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার বাগবাড়ী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল বারেক (৪৮) ও টাংগাইল জেলার সদর থানার গোসাইর জুয়ার গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ আলী (৩০)।
তারা ওয়ালটন কারখানার পাউডার কোটিং শাখার শ্রমিক ছিলেন। রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১১টায় কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ তিন শ্রমিক নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রবিবার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রায় একটি কারখানায় ইফতার খেয়ে কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শ্রমিকদের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজন শ্রমিক মারা গেছেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। এতে আব্দুল্লাহপুর চন্দ্রা সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে বারইপাড়া থেকে কালিয়াকৈরর চন্দ্রা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবির বলেন, ইফতারের পর কয়েকজন শ্রমিক বাইরে থেকে কোমলপানীয় জাতীয় পানীয় এনে খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁদের মৃত্যু হয়।
কারখানা থেকে সরবরাহকৃত খাবার থেকে সমস্যা হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে।
কারখানার ডেপুটি অপারেটিভ ডাইরেক্টর মো. সুজন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যতোদূর জেনেছি, শ্রমিকেরা খাবার খেয়ে নয়, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এদিকে শ্রমিক মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সানোয়ার হোসেন বলেন, শ্রমিক মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ কাজ করছে।
জেএন/পিআর