বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফে। এর আগে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তাকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বাফুফের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সোহাগকে আর কখনো বাফুফেতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এমনকি বাফুফে ভবনে তার প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
জরুরি সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদককে ফিফা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পরবর্তীতে তিনি যেন এই ফেডারেশনে আর কোনো কাজ করতে না পারেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাফুফে সভাপতির প্রটোকল অফিসার ইমরান হোসেন তুষার।
এ বিষয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের এখানে যারা কাজ করছেন তারা প্রত্যেকে যার যার ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত আছেন। মো. ইমরান হোসেন তুষার, যিনি সভাপতির সঙ্গে কাজ করছেন, তাকে আমরা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিন মাসের জন্য নিয়োগ দিচ্ছি, সর্বোচ্চ ছয়মাস। এর মধ্যে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেবো।
ফিফার প্রকাশ করা ৫১ পাতার প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফিফা ও এএফসি থেকে যে ফান্ড আসে, তা খাত অনুযায়ী আমরা খরচ করব। লক্ষ্য- আমরা ক্যাশ খরচ যতটা কমিয়ে আনতে পারি। এরই মধ্যে আমরা ক্যাশ পেমেন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট পেমেন্টে চলে গেছি ৯৮ ভাগ।
সোহাগ যে কারণে নিষিদ্ধ হয়েছে তা তদন্ত করার জন্য বাফুফের যে অডিট কমিটি আছে, তার সঙ্গে আরও তিনজন যোগ করে দেয়া হয়েছে। তারা হলেন: জাকির হোসেন চৌধুরী, ইলিয়াছ হোসেন, সত্যজিৎ দাস রুপু। সঙ্গে থাকবেন চার সহসভাপতি: কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও ইমরুল হাসান।
এদিকে, ফিফার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আবেদনের কথা জানান সোহাগ। আবেদনে শাস্তিরত মেয়াদ কমলে বা শাস্তি বাতিল হলে ফুটবলে ফেরার সুযোগ ছিল সোহাগের। বাফুফে সে সুযোগের দুয়ারও বন্ধ করে দিল।
জেএন/পিআর