চলমান অনূর্ধ্ব-১৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে রীতিমতো উড়ছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফাইনাল রাউন্ড নিশ্চিত করার পর এগুচ্ছে শিরোপার দিকেও। লক্ষ্য পঞ্চম শিরোপা জয়।
অন্যদিকে অনূর্ধ্ব-১৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ বা জুনিয়র কোপা আমেরিকার পূর্বের ১৮টি আসরের মধ্যে ১২টি আসরের চ্যাম্পিয়নই ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ইকুয়েডরে বসা চলমান টুর্নামেন্টটির ১৯তম আসরে ১৩তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মুখিয়ে আছে ব্রাজিলের যুবারা।
ফাইনাল রাউন্ডে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের মুখোমুখি হয় আলবিসেলেস্তে জুনিয়ররা। ম্যাচটিতে ০-০ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে আগামী দিনের মেসি-ডি মারিয়ারা।
এর আগে ফাইনাল রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে চিলিকে ২-০ এবং ভেনেজুয়েলাকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। এই ড্রয়ের ফলে নিজেদের পঞ্চম শিরোপা মিশন আরো কঠিন হয়ে গেল আলবিসেলেস্তেদের।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ইকুয়েডরের এস্তাদিও দে লিগা দেপোর্টিভা ইউনিভার্সিটিরিয়ায় মুখোমুখি হয় দল দুইটি। গোলের জন্য মরিয়া আর্জেন্টাইন যুবারা প্যারাগুয়ের গোলপোস্টে ২৯টি শট নেয়।
যার ১০টিই ছিল টার্গেটে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। অন্যদিকে প্যারাগুয়ের নেয়া ১২টির মধ্যে ৩টি ছিল টার্গেটে। শেষ পর্যন্ত উভয় দল গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকালে ইকুয়েডরের স্তাদিও অলিম্পিকোতে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও স্বাগতিক ইকুয়েডর।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটেই স্বাগতিকদের লিড এনে দেন আলেক্সান্ডার আরোয়ো আলভারাডো। ৩৮তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করেন আলভারাডো। বিরতির ঠিক আগে এক গোল শোধ করে ব্রাজিল। তবে তা ইকুয়েডরের কল্যাণে। ইকুয়েডরের অ্যান্তোনিও কুল্লাহোয়াজো ভাকা ৪৫তম মিনিটে আত্মঘাতি গোল করলে ২-১ এ পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে সেলেসাও জুনিয়ররা। যার ফল ধরা দেয় ম্যাচে ৫২তম মিনিটে। কাউয়া ইলিয়াস গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান। শেষ পর্যন্ত দুই দল আর কোনো গোল করতে না পারায় ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
দুদলের ড্রতে তিন ম্যাচ শেষে ২ জয় ও এক ড্রয়ে আর্জেন্টিনার সংগ্রহ হলো ৭ পয়েন্ট। ফাইনাল রাউন্ডের তিন ম্যাচ শেষে স্বাগতিক ইকুয়েডর, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু গোল গড়ে ইকুয়েডর শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। আর্জেন্টিনা রয়েছে দ্বিতীয় ও ব্রাজিল তৃতীয় স্থানে।
আর্জেন্টিনা স্বাগতিক ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে ২০ এপ্রিল নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে নামবে আগামী ২৩ এপ্রিল পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে।
উল্লেখ্য, ফাইনাল রাউন্ড নিশ্চিত করা ছয়টি দলই মুখোমুখি হবে একে অপরের। প্রতিটি দলের থাকবে পাঁচটি করে ম্যাচ। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দল হবে চ্যাম্পিয়ন। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল হবে রানার্সআপ। বাকি চার দলের মধ্যে যথায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণ হবে।
জেএন/পিআর