যে আগুন নিয়ে বিএনপি খেলছে, সেই আগুনেই তারা পুড়ে মরবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, খুঁজে বের করা হচ্ছে কোথা থেকে আগুন লাগানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন ওবায়দুল কাদের।
এর আগে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল আজ আগুনের কথা বলেন; লজ্জা থাকলে এ কথা তিনি বলতেন না। কারণ, এদেশে আগুন-সন্ত্রাস, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি শুধু বিএনপিই করে; আওয়ামী লীগ নয়। দেশ নয়, বিএনপি সব সময় পকেট উন্নয়নের রাজনীতি করে।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, আগুন লাগানোটা আপনাদের ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের প্রাকটিস। আওয়ামী লীগ কখনো আগুন নিয়ে খেলে না, কোনো সন্ত্রাসেও বিশ্বাস করে না। আওয়ামী ষড়যন্ত্র করে না, বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আগুন কারা লাগায়, কোথা থেকে লাগায়, আমরা তার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তদন্ত করা হচ্ছে। খুঁজে বের করা হবে কোথা থেকে আগুন লাগানো হচ্ছে। সব ষড়যন্ত্র বের করা হবে, প্রতিহত করা হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের উন্নয়ন করে। আর বিএনপি করে পকেটের উন্নয়ন। বিএনপির কাছে ক্ষমতা হচ্ছে পকেটের উন্নয়ন এবং দুর্নীতি ও ভোটচুরি। আওয়ামী লীগের কাছে, শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসজুড়ে ফখরুল সামর্থ্যবানদের নিয়ে ইফতার পার্টি করে বেড়াচ্ছেন। আর আওয়ামী লীগ দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। এটাই বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য। এটাই খালেদার সঙ্গে শেখ হাসিনার পার্থক্য।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিশ্ব সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশ দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ভালো। না খেয়ে মারা গেছেন, এমন কেউ নেই। আজকে বিএনপির গায়ে জ্বালা এ সংকটেও বাংলাদেশ কেন ভালো আছে?
ঈদ উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।
বাহাউদ্দীন নাসিম বলেন, আমরা আমাদের নেত্রীর নির্দেশনা অনুসারে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দামি হোটেলে ইফতার থেমে গেছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত চালিয়ে যাচ্ছে। এটার কারণ তারা নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, এটি আপনাদের প্রতি করুণা নয়। আপনাদের অধিকার। সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমরা এর আয়োজন করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এ শিক্ষা দিয়েছেন।
জেএন/পিআর