ঈদ আসলেই সাধারণত যানবাহনের গতি বাড়িয়ে চলাচল করে চালকরা। ফলে দুর্ঘটনাও বাড়ে তুলনামূলক হারে। এবার ঈদযাত্রায় বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান নিয়ে মাঠে নামছে পুলিশ। সড়ক পথের পাশাপাশি নৌ ও রেলপথেও থাকবে এ ব্যবস্থা।
দুর্ঘটনা রোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক বরকতউল্লাহ খান।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বরকতউল্লাহ খান বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান নিয়ে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন।
এদিকে ঢাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীসহ এর আশপাশের প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনের কাছে ফিরবে। এর মধ্যে সড়কপথে যাবে ৬০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ করে যাবে নৌ ও রেলপথে।
সেই হিসাবে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরবে সড়কপথে। তবে, বিপুল পরিমাণ এই যাত্রীর চাপ নেওয়ার সক্ষমতা নেই দেশের মহাসড়কগুলোর। এতে এ বছরও বাড়ি ফেরায় বাড়তে পারে জনদুর্ভোগ।
ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ঈদযাত্রায় ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মোট মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ঈদযাত্রায় ৬৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছিলেন। এবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবেন।
জেএন/পিআর