ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ নামে যাত্রীবাহী বাসের সাথে একইমুখী একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১৯ জন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার সাইফুল (৩৫) ও হাজেরা খাতুন (৬০), নড়িয়া উপজেলার মো. আরিফ কাজি। নিহত এক নারীর পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৯ জন। তারা হলেন বিউটি (২৫), তাহিরা (১৫), আকাশ পাটোয়ারি (২৫), বিথী (৩০), আরিফ (২০), রাসেল (২৫), চাঁপা (১০), মারিয়া (১), সাকিরা (৩০), সুলতান (৩০), আকাশ (২০), শামীম (২০), সেলিম (৩০), বাশার (২৫), বিল্লাল (২৫), জান্নাত (২০), সালাউদ্দিন, সেলিম (১৯), আরিফ (২৭)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শরীয়তপুরগামী পদ্মা এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে চলছিল।
মুন্সীগঞ্জের ষোলঘর কবরস্থান এলাকায় আসা মাত্রই হঠাৎ সামনের একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে পদ্মা এক্সপ্রেস বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে আঘাত করে। এতে বাসের একপাশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় আরো ২১ জনকে উদ্ধার করে দ্রুত শ্রীনগর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আরো ২ জন নিহতের খবর আসে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে ফায়ার সার্ভিস।
মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসিনা ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় হাসপাতালে ও ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণে রাস্তার দক্ষিণ প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে হাসারা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, যানজট নিরসনে পুলিশ চেষ্টা করছে।
জেএন/পিআর