সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা গেছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দেশটিতে ঈদ পালন করবেন মুসলমানরা। বাংলাদেশের আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা না গেলেও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম; বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম; তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম; লালমোহন উপজেলার পৌর শহর ও ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা মোট ১৪টি গ্রামে পালিত হবে ঈদুল ফিতর।
জানা যায়, জেলার ৫ উপজেলায় ১৪টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকে।
এদিকে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফ সূত্রে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে তারাবি, রমজান ও পবিত্র ঈদ উদযাপন করেন ৩০ গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। এর আগে গত ২৩ মার্চ থেকে পবিত্র রমজানের রোজা রেখেছেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্তরা।
দরবারের ভক্ত হারুন চৌধুরী লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে সুরেশ্বর দরবারে এসেছেন। তিনি বলেন, সুরেশ্বর দরবারে এসেছি ঈদের নামাজ পড়তে। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমার পূর্ব পুরুষরাও রোজা-নামাজ করেছেন। আমরাও করছি। দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সুরেশ্বর দরবারের ভক্ত বশির মাঝি বলেন, আমার বাড়ির কাছেই দরবার শরীফ। দরবারে এসে আত্মার শান্তি খুঁজে পাই। ঈদের নামাজ সৌদির সাথে মিল রেখে দরবারের মাঠে আদায় করব। সৌদির মতো একদিন আগে থেকে আমি রোজা রেখেছি।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুনছুর মৃধা বলেন, সারাদেশ থেকে দরবারের ভক্তরা ঈদের নামাজ পড়তে দরবারে এসে পৌঁছেছেন। শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরেশ্বর দরবার শরীফের মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমামতি করবেন গদিনশিন বেলাল নূরী। তিনি খুতবাও পাঠ করবেন। নামাজ শেষে তার ভাই কামাল নূরী জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য দোয়া মোনাজাত করবেন।
জেএন/এমআর