আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের ঈদুল ফিতর আমরা ভোগান্তিমুক্তভাবে উদযাপন করতে পেরেছি। ঘরমুখো মানুষদের জন্য যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক।
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা একটা হ্যাসেল ফ্রি ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। এবার যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এরচেয়ে হ্যাসেল ফ্রি যাত্রা গত অনেক বছর ধরে হয়ে উঠেনি, প্রধানমন্ত্রীও খুশি।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদের পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সবার সন্দেহ ছিল পদ্মায় মোটরসাইকেল নিয়ে সমস্যা হতে পারে। বাইকারদের অসন্তোষ ছিল, তারপরও আমরা সার্বিক সংকট হবে বলে বন্ধ রেখেছিলাম কয়েকমাস। চালু করে দেখেছি- আমাদের তরুণরা যে শৃঙ্খলার সাথে চালিয়েছে তা অনন্য সাধারণ। সুশৃঙ্খলভাবে তারা পদ্মা সেতুতে যাতায়াত করেছে।
ঈদ পরবর্তী সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কঠোরভাবে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে- জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে সড়ক দুর্ঘটনা কম হলেও, পরের যাত্রায় দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। এ সময় একটু কঠোরভাবে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্টদের বলবো- ঢাকায় ফেরার যাত্রা যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদে হয়, সেজন্য আপনারা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। অতীতের বিষাদ কিছু ঘটনার পুনরাবৃত্তির দিয়ে ঈদ ফেরত যাত্রা যেন সমাপ্ত না হয়, সেটা সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গাজীপুর রুটে বিআরটি প্রজেক্ট নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু মানুষ নির্বিঘেœ যাতায়াত করতেপেরেছে। মানুষের ফিরে আসা শুরু হবে। ঘরমুখো যাত্রা যেমন স্বস্তিদায়ক ছিল,তেমনি ফিরে আসাটাও যেন স্বস্তিদায়ক হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্মস্থলেফেরার যাত্রা নিরাপদ করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন- যাতে অতীতের পুনরাবৃত্তি না হয়। এবার সবাই ইতিবাচক বলছে, স্বস্তিদায়ক যাত্রা হয়েছে সেটা সবাই বলছেন। যেভাবে এবার আমাদের কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এটি সম্ভব হয়েছে। কেউ কাজে ফাঁকি দিয়েন না। কাজকে ফাঁকি দেওয়া মানে দেশকে ফাঁকি দেয়া। বিশ্ব সংকটের মধ্যে আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছর নির্বাচনের বছর। অনেকগুলো কাজ আমাদের রয়ে গেছে। এমআরটি লাইন-৬ এ বছর শেষ করার কথা বলেছি, সেভাবেই কাজ এগুচ্ছে। আমরা একটা প্রকল্পে পিছিয়ে ছিলাম বাস র্যাপিড ট্রানজিট, সেটা অনেকটা ইম্প্রুভ করেছে। এবার যানজটের বিড়ম্বনা সেভাবে সইতে হয়নি। কোথাও থেকে তেমন কোনো কমপ্লেইন আসেনি।
জেএন/এমআর