তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইতিমধ্যে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ৭৩টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ঈদে আটটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো ছবি আসবে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বছরে যদি ১০টি ভারতীয় ছবি মুক্তি পায় তাহলে আমাদের ছবির ক্ষতি হবে না। আমার মনে হয়, এতে আমাদের চলচ্চিত্রের মান বাড়বে। দর্শকও হলে যাবে। তখন দর্শক দেশীয় ছবিও দেখবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে সিনেমা হলের সংখ্যা ৩৫টিতে নেমে এসেছিল। তারা ভারতীয় ছবির মুক্তি দেওয়ায় এখন তাদের হলের সংখ্যা ১২০০ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্পও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিনেপ্লেক্স হয়েছে। আরও সিনেপ্লেক্স হলে ভালো হয়। আপনারাও সিনেপ্লেক্স করতে পারেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দাবি দাওয়ার মধ্যে পুরস্কারপ্রাপ্তদের আইডি কার্ড দেওয়ার বিষয়টি দেখব।’ এফডিসিতে বঙ্গবন্ধুর নামে জাদুঘর স্থাপনে সম্মিলিত চলচ্চিত্র সমিতির নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র জাদুঘর হতে পারে। তবে সব জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করা সমীচীন নয়।
প্রধানমন্ত্রীও যত্রতত্র এগুলো করা পছন্দ করেন না। অনুমতি দেন না। এখানে চলচ্চিত্রের একটা আর্কাইভ জাদুঘর করা যেতে পারে, যোগ করেন তিনি।
এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা জানতে চান কারাগার থেকে মুক্তি পয়ে বিএনপি নেতা রিজভী আহমদ বলেছেন, ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছি। দেশটা বড় কারাগার, রিজভীর এই বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা সকাল-বিকাল, রাতে সরকারের সমালোচনা করেন তারা একটু আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের দিকে তাকান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাকস্বাধীনতা অনেক বেশি। রিজভী সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছেন, বাকস্বাধীনতা না থাকলে তো তিনি এ কথা বলতে পারতেন না। তিনি যদি চান তাহলে তাকে আবার ছোট কারাগারে পাঠানো হবে।’
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র সমিতির প্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ, কাজী হায়াৎ, এস ডি রুবেল, নায়ক ফেরদৌস, আবদুল লতিফ বাচ্চু, সুদীপ্ত কুমার প্রমূখ।
জেএন/এমআর