প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হক-এর অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।
আগামীকাল ২৭ এপ্রিল অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হক-এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন।
কৃষকদের অধিকার আদায়ে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থ রক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদারগণ রায়তদের উপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাঁকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক- এর সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক- এর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।
জেএন/এমআর