লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা তিনটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম-পরিচয় জানাননি তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত একটার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রধান আসামি কাশেম জিহাদী চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি নিজের নামে বাহিনী গঠন করে এলাকায় দুই যুগ ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে। স্থানীয়ভাবে তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান হিসেবে পরিচিত।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই আবুল কাশেম জিহাদীকে এলাকায় দেখা যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, জিহাদী আত্মগোপনে আছেন। জিহাদীকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট সড়কে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা মারা গেছেন।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা- একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
জেএন/পিআর