চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে ভোট পান ৫ হাজার ৮৭ ভোট।
তাছাড়া চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পেয়েছেন ১৮৬০ ভোট, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির কামাল পাশা পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী পেয়েছেন ৪৮০ ভোট। উপ-নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অংশ নেয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে ১৯০ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম-৮ আসনটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং শ্রীপুর ও খরনদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত বোয়ালখালী উপজেলা। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ ও নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
এর আগে মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
জেএন/পিআর