গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম। বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমায় এখন দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে এ সপ্তাহের বাজারে দাম উদ্ধগতিতে রয়েছে প্রায় সব ধরনের সবজি। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে শুক্রবারের বাজারে।
সরেজমিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ঈদের দুই দিন আগে থেকে ব্রয়লার মুরগি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার তা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে সোনালি মুরগির কেজি হয়েছিল ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বাড়তিতে বিক্রি হওয়া চিনির দাম আরও বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা চিনি।
দেশি শসা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, করলা (উস্তা) ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা আম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে আমদানি কম তাই সবজির দাম বাড়তির দিকে। ঈদের পর এখনো বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসেনি। আশা রাখছি আগামী সপ্তাহ থেকে আসা শুরু করলে দাম কমে যাবে।
বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ কম। খোলা চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। সরকার খোলা চিনির সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে ১০৪ টাকা কেজি। কিন্তু প্রতি কেজি চিনি কিনতে ক্রেতাকে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ১৬ টাকা। গত সাত মাসে সরকার পাঁচবার চিনির দাম বেঁধে দিয়েছে, কিন্তু কোনোবারই নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হয়নি।
চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের দামে পরিবর্তন হয়নি। উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে এসব পণ্য। ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, রসুন দেশি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, আমদানি করা চীনা আদা ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, মসুর ডাল (ছোট) ১৪০ টাকা, বড় মসুর ডাল ১০০ টাকা, পোলাওর চাল খোলা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাওর চাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেএন/পিআর