কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের সাথে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
পরে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় উখিয়ার নৌকার মাঠ ক্যাম্পের ক্যাম্প-৭ এলাকায় অভিযান চালায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (১৪ এপিবিএন) এর সদস্যরা।
এসময় ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ওয়াকিটকিসহ ৪ আরসা সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন। আটককৃতদের মধ্যে দুজন নারী সদস্য রয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- উখিয়ার ক্যাম্প-২ ইস্ট এর সাব ব্লক বি/ডাব্লিউ এর মৃত মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে জোবায়ের (২০), ক্যাম্প-৬ এর সাব ব্লক ডি/৮ এর মৃত কামাল হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৫), ক্যাম্প ৫ এলাকার ডি/৮ ব্লকের জোবায়ের আহমেদের মেয়ে মোসা বিবি (১৬) এবং একই এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের স্ত্রী জামিলা বেগম (৪৮)।
শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় উখিয়া ১৪ এপিবিএন পুলিশের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন, এপিবিএন পুলিশর ডিআইজি মো: জামিল হাসান।
জামিল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিনসহ ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী ক্যাম্প-৭ এর ব্লক-জি এলাকায় অবস্থানের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এপিবিএন পুলিশ অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ পাল্টা গুলি করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং এরমধ্যে একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে একই ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে ক্যাম্প-৫, ব্লক-সি এর একটি ঘরে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিন তার দলবলসহ অবস্থানের খবরে পূণরায় অভিযান চালালে ছমিউদ্দিনসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও তার সহযোগী নারীসহ ৪ জনকে আটক করা হয় এবং ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি ৪টি ওয়ানশুটারগান, ৩০টি চায়না রাইফেলের গুলি,২৭টি পিস্তলের গুলি-২৭টি, ৫টি শটগানের কার্তুজ, ৩টি খালি ম্যাগজিন, ৪টি ওয়াকিটকি, ৫টি মোবাইল ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর