মোহালিতে টস জিতেও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। আর সে সুযোগ ভালভাবেই লুফে নিয়েছে জায়ান্টস ব্যাটাররা।
সংগ্রহ করেছেন আসরের সর্বোচ্চ রান। পাঞ্জাব কিংসের বোলারদের তুলোধুনো করে ৫ উইকেটে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে লোকেশ রাহুলের দল। তবে লক্ষ্ণৌ বোলাদের তোপে সবকটি উইকেট হারিয়ে ধরাশায়ী কিংস ব্যাটিং লাইনআপ। এক বল হাতে রেখে ২০১ রানে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস। হেরেছে ৫৬ রানে।
এ নিয়ে ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে টেবিলের দুইয়ে আসল লক্ষ্ণৌ। সমান ম্যাচ খেলে ৪ জয়ে ছয়ে পাঞ্জাব।
পাঞ্জাবের ঘরের মাঠে উড়ন্ত শুরু পায় সফরকারী দল। ৩.২ ওভারে ৪১ রানে হারায় প্রথম উইকেট। লোকেশ রাহুল আউট হন ৯ বলে ১২ রান করে। ৫.৫ ওভারে দলীয় ৭৪ রানে ফেরেন ঝড়ো ফিফটি করা কেইল মায়ার্স। ২৪ বলে ৫৫ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৯ রান করেন আয়ুশ বাদুনি ও মার্কোস স্টোনিস। ১৩.৩ ওভারে ১৬৩ রানে আউট হন আয়ুশ। ২৪ বলে ৪৩ রান করেন তিনি।
১৮.২ ওভারে রানের ঝড় তোলা স্টোনিস ফেরেন দলীয় ২৩৯ রানে। ৪০ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর ১৯.৪ ওভারে ২৫১ রানে ফেরেন নিকোলাস পুরান। ১৯ বলে ৪৫ রান করেন ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার। শেষ অবধি ৫ উইকেটে ২৫৭ রানের সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ।
পাঞ্জাবের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। স্যাম কারেন, লিভিংস্টোন ও আর্শদ্বীপ সিং নেন একটি করে উইকেট।
পাহাড় রানে চোখ রেখে ব্যাটে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ফেরেন ২ বলে ১ রান করে। ৩১ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট।
সিমরন সিং ফেরেন ১৩ বলে ৯ রান করে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৮ রান করেন সিকান্দার রাজা ও অথর্ভ তাইদে। ১১.৩ ওভারে ১০৯ রানে ফেরেন রাজা। ২২ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।
১৩তম ওভারের শেষ বলে ১২৭ রানে ফেরেন তাইদে। ৩৬ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর লিয়াম লিভিংস্টোন (১৪ বলে ২৩), স্যাম কারেন (১১ বলে ২১) ও জিতেশ শর্মা (১০ বলে ২৪) করলেও শেষে নামা তিন ব্যাটার ছিলেন ব্যর্থ। নামের সঙ্গে সুবিচার না করেই ফেরেন শাহরুখ খান, রাহুল চাহার ও কাগিসো রাবাদা। ১৯.৫ ওভারে ২০১ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।
অতিথি দলের হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন ইয়াশ ঠাকুর। নাবিন উল হক নিয়েছেন তিনটি, রবি বিশ্নুই দুটি ও স্টোনিস নিয়েছেন একটি উইকেট।
জেএন/পিআর