পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে নেওয়া হচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।
এ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে কঠোর অবস্থানে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।এবোর্ডের অধীনে প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শনিবার বন্ধের দিনেও খোলা রাখা হয় শিক্ষা বোর্ড। গঠন করা হয় ১০টি স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ২১৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। এ বোর্ডে এবার তিন বিভাগেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
গতবারের তুলনায় এবারের পরীক্ষায় মোট ৫ হাজার ৫৭ জন পরীক্ষার্থী বেশি অংশ নিচ্ছে।পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ২৭০ জন ও ছাত্রী ৮৬ হাজার ৪৯৯ জন।
এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিচ্ছে ৩৪ হাজার ৩২ জন। মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ৫৩৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৬১ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী।
গত বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ৩০ হাজার ৩৭১ জন, মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয় ৬০ হাজার ২০৪ জন।
এবার নগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৮৮৫ জন। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থী আছে ২৪ হাজার ৩৩০ জন, রাঙামাটি জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮ হাজার ৭৪২ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ৯ হাজার ৮৬৬ জন, বান্দরবান থেকে ৪ হাজার ৯৪৫ জন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে দেরিতে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে তা ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে।
কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মুঠোফোনে বা ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা যায় না, এমন একটি সাধারণ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেনা।
জেএন/হিমেল/পিআর