চট্টগ্রামের পটিয়ায় জেরিন আকতার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যজট তৈরি হয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শেখ মোহাম্মদ পাড়ার নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জেরিন উপজেলার সালেহ নুর ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী ফাইনাল বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার পর থেকেই নিহত গৃহবধূর প্রবাসী স্বামী দিদারুল আলমসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালের মার্চে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শেখ মোহাম্মদ পাড়ার মৃত সালামত আলী খানের দুবাই প্রবাসী ছেলে দিদারুল আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপেজলার ছনহরা ইউনিয়নের আলামদার পাড়ার মটপাড়া গ্রামের আমির আলামদারের বড় মেয়ে জেরিন আকতারের।
রবিবার সন্ধ্যায় ঘরের জানালা দিয়ে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান বাড়ির ছোট ছেলেমেয়েরা। এ সময় তারা চিৎকার-চেঁচামেচি করলে আশপাশের লোকজন এসে দ্রুত রশিতে ঝুলানো অবস্থায় গৃহবধূ জেরিন আকতারকে নিচে নামান। পরে রাত ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে নিহত গৃহবধূর মা জেসমিন আকতার অভিযোগ করে বলেন, আত্মহত্যা নয় আমার মেয়ে জেরিন আকতারকে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে লাশটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
জেএন/পিআর