নিজেকে মানবাধিকার কর্মী, কখনো সাংবাদিক, কখনো পুলিশ বা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন। সীতাকুণ্ড মডেল থানার তালিকাভুক্ত চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্নিত এই নামধারী প্রতারক আবু বক্কর অবশেষে পুলিশের হাত ধরা খেল।
রবিবার গভীর রাতে সীতাকুণ্ড থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকিব হাসান ও শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে বক্করসহ দুজনকে গ্রেফতার করে।
আবু বক্করের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।গ্রেফতার অন্যজন হলেন সালাউদ্দীন। তিনিও একটি চাঁদাবাজি মামলার আসামি।
আবু বক্কর সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া (৮নং ওয়ার্ড) এলাকার মৃত হুমায়ন কবির চৌধুরীর ছেলে। আর সালাহ উদ্দিন একই ইউনিয়নের বোয়ালীয়াকুল এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আবু বক্কর রোগীদের বনাজি ওষধ সরবরাহ করলেও কোন বৈধ ডকুমেন্ট নেই। চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কোন প্রশিক্ষণ ছিলো না তার। চিকিৎসা ও ভূমিদস্যুতার আড়ালে চাঁদাবাজির গডফাদার হিসাবে খ্যাতি তার।
ইতোপূর্বে নারী সংক্রান্ত মামলাসহ একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, গ্রেফতার আসামি আবু বক্কর চৌধুরী নিজ এলাকায় হেকিম বক্কর ও মানবধিকার কর্মী, ভূমির দালাল হিসাবে পরিচিত।
তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় চাঁদাবাজিসহ ৫টির অধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া অপর গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
জেএন/পিআর