বাংলাদেশের অবস্থান এবং আবহাওয়ার কারণে প্রতিবছর বর্ষার আগে এপ্রিল-মে মাসে এবং বর্ষার পরে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগর থাকে উত্তাল। তেমনই এক মাসে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি ছিলো ব্যাপক।
এবারও দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে তিনটি সামুদ্রিক ঝড়ের কথা বলা হয়েছে।
যার অনেকগুলোই লঘু বা নিম্নচাপ আকারে সাগরেই মিলিয়ে গেছে। তবে বর্তমানে সাগরে পানির যে তাপমাত্রা এবং বাতাসের গতি তা পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়াবিদরা বলছেন আগামী সপ্তাহে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করতে হলে তার অনেকগুলো ধাপ পার করতে হয়। প্রথমেই এটি ঘূর্ণিঝড় রূপে আসে না। প্রথমে হয় লঘুচাপ, তারপর সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিন্মচাপ, গভীর নিন্মচাপের পর হয় ঘূর্ণিঝড়।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমরা ধারণা করছি, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কোনো একটা সিস্টেম ডেভোলোপমেন্ট ঘটতে পারে। লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ হতে পারিপার্শ্বিক অনেক বিষয় কাজ করে।
অনেকসময় লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় হতে ৬-৭ দিন লাগে। অনেক সময় আবার দুই দিনেও তা হতে পারে।
লঘুচাপ সৃষ্টির ৪ থেকে ৫ দিন পর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। গতিপথটাও বোঝা যাবে তখন।
তবে এই সময় সাগরে মেঘ সঞ্চারের কারণে বৃষ্টির অভাবে দেশব্যাপী আবারো মৃদু থেকে মাঝারী তাপদাহ বয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, দেশে বৃহস্পতিবারের পর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এসময়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপ প্রবাহ থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
এটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় তবে এর নাম হবে ‘মোচা’ যা ইয়েমেনের দেয়া একটি নাম। প্রকৃতির খাম-খেয়ালি আচরণের শতভাগ পূর্বাভাস দেয়ার উপায় নেই তাই এখনই এ বিষয় নিয়ে আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ আবহাওয়াবিদদের।
জেএন/পিআর