পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি মাদক চোরাকারবারিদের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ বুধবার সকালে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে যে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন, এর আলোকে আমরা কাজ করছি।
যদি কোনো অপরাধী ভালো পথে ফেরত আসতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। এ কারণে আমরা দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করতে পেরেছেন। যেসব জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের মধ্যে কেউ অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা তা আমরা নজরে রাখছি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে আমরা অপরাধীদের তালিকা করি। অপরাধের প্রমাণ পেলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনো ঘটনা সংগঠিত হলে কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না।
অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে আইন-শৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে যতযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে ১০ জন মানুষকে হত্যা, এটি একটি বড় ঘটনা। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত করছে।
তদন্তে ঘটনার মূল কারণ অবশ্যই বের হবে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
আইজিপি আরও বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে গত এপ্রিল মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অপরাধ অনেক কম সংগঠিত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থা নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর