পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বন্টনের জের ধরে বড় ভাই আবু তাহেরকে দা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন ছোট ভাই আবুল খায়ের।
খুনের পর ত্রিশ বছর ধরে আত্মগোপনে চলে যায় প্রধান আসামি খায়ের। গতকাল তার অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালায় র্যাব। চট্টগ্রামের পটিয়া কামালবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামী মো. আবুল খায়ের ছাগলনাইয়া থানার মৃত অলি আহম্মেদ ছেলে।
ঘটনার বিবরনে র্যাব জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বন্টন নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে ১৯৯৩ সালের ২৭ জুন আবুল খায়ের ও আব্দুল কাদের মিলে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আবু তাহেরকে খুন করে।
এ ঘটনায় বড় বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানায় আবুল খায়েরকে প্রথম আসামী এবং আব্দুল কাদেরকে দ্বিতীয় আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে আবুল খায়ের এবং আব্দুল কাদের এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকার্য শুরু হলে আসামীরা জামিনে গিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে আসামীদের অনুপস্থিতিতে ভিকটিম আবু তাহেরকে হত্যার দায়ে আসামী আবুল খায়ের এবং আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
র্যাব-৭ জানায়, গ্রেফতার মো. আবুল খায়ের পটিয়া থানার কামাল বাজার এলাকায় দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত মিজান নামে দিনমজুর ও অটোরিক্সা চালিয়ে বসবাস করে আসছে।
রাংগুনিয়া ও পটিয়ায় তাকে সবাই মিজান নামেই চিনে। দীর্ঘ ৩০ বছর সে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন থেকে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখেন। এভাবে সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি পূর্বক বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পেশায় আত্মগোপনে ছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ৫টায় র্যা ব-৭ একটি আভিযানিক টিম আসামী আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানায় র্যাব।
জেএন/হিমেল/পিআর