গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে রবিবার রাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমার সীমান্তের উপকূল অতিক্রম করতে পারে মোখা।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন আন্দামান সাগরে সোমবার লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে ক্রমশই ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবার রাতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে মোখা অতি প্রবল আকার ধারণ করে উপকূলের দিকে ধাবিত হবে।
আজিজুর রহমান বলেন, এখন গভীর নিম্নচাপ আকারে থাকলেও বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিবে মোখা।
‘আর স্থলভাগে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
এই গতিবেগ মোখাকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত করবে বলে জানান আজিজুর।
তিনি বলেন, উপকূলে আঘাত হানার আগে শুক্রবার থেকেই দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর ও গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ছিল ৫০ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তার পর বৃহস্পতিবার উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগুবে।
এর পরই মোখার পথ বদল হতে পারে। বাঁক নিয়ে তা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক বরাবর বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে।
জেএন/পিআর