ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোয় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১২ মে) রাতে দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব আশঙ্কার কথা জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া উপকূলের দশ জেলায় ৫ থকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও জানানো হয়। শুক্রবার রাতে দেশের চার বন্দরকে মহাবিপদ সংকেত দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, মোখা বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্ব উপকূলমুখী। আর সে জন্যই ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বন্দরগুলোকে। আবহাওয়ার ওই বিশেষ বার্তায় বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার।
যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
একইসাথে মোখার অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জেএন/এমআর