মহাবিপদ সংকেতের খবর শুনে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ

অতিপ্রবল ঘূণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

- Advertisement -

একারণে কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনছে স্থানীয় প্রশাসন।

- Advertisement -google news follower

শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কক্সবাজারের নাজিরারটেক, সমিতিপাড়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, সোনাদিয়া, ঘড়িভাঙ্গা ও কুতুবজোম, টেকনাফ বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে অন্তত অর্ধলাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

- Advertisement -islamibank

আগামীকাল রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনের দুই দিক থেকে যেহেতু খোলা রয়েছে এবং পানি চলাচলের সুবিধা আছে, তাই বড় ধরনের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না।

কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওই অঞ্চলে পানি জমে থাকবে না। আবহাওয়া অফিস থেকে প্রতি মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় মোখার সকল আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে রক্ষা পেতে শনিবার ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সকাল থেকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছি। এতে করে উপকূলের মানুষ আসতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত অর্ধলাখ মানুষ এসেছেন। আরও অনেকেই আসবেন। তবে কত লোক আসবে সেটা ঠিক বলা যাচ্ছে না।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে থেমে থেমে রাত ১টা পর্যন্ত চলে। আজ শনিবার সকাল থেকে মোখার প্রভাবে আবারও থেমে থেমে বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া চলছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি থানায় আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। দুর্যোগকালীন প্রতিটি মানুষকে সহযোগিতা করা হবে। লোকজনকে সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিকতার পরিচয় দিতে হবে।

এদিকে, জেলা প্রশাসন কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলায় সিসিপির ৮ হাজার ৬০০ জন এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২ হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।

সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সেখানে সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ২০ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

একইসঙ্গে ৫ দশমিক ৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩ দশমিক ৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে।

প্রস্তুত রয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। জেলায় যে ৫৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেগুলোতে ৫ লাখ ৫ হাজার ৯৯০ জন মানুষ থাকতে পারবে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM