ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য জলোচ্ছ্বাসের পানি যাতে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু টানেলের ‘ফ্লাড গেট’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেতু বিভাগের নির্দেশনার এগুলো বাস্তবায়ন করছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
রোববার সকাল ৮টার দিকে টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, টানেল সুরক্ষায় ফ্লাড গেট বন্ধসহ যা যা করা দরকার তা করা হয়েছে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলা নিয়ে বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে টানেলের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয় সেতু কর্তৃপক্ষকে। এরপর সেতু কর্তৃপক্ষ ৮টি বিশেষ নির্দেশনা দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত কর্মকর্তাদের।
এগুলো হলো- টানেলের প্রকল্প পরিচালক প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা, ঘূর্ণিঝড়ের সময় সার্ভিলেন্স টিম প্রস্তুত রাখা, প্রকল্পে কর্মরত সবার এবং সম্পদ (জানমাল) রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনে দুই প্রান্তে থাকা ফ্লাড গেট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত যানবাহনসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ক্রেন, এক্সকাভেটর, ডিভাইডার, পাইপ, টিন ইত্যাদি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা, ঘূর্ণিঝড়ে উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রাপ্ত নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রকল্প পরিচালক সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে উল্লিখিত নির্দেশনার আলোকে ঘূর্ণিঝড় মোখা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ শেষ হয়েছে ৯৭ দশমিক শতাংশেরও বেশি। যদিও টানেলের মূল কাজ আগেই শেষ হয়েছে। এখন ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কাজ চলছে। টানেলকে জনসাধারণের নিরাপদভাবে চলাচলের উপযুক্ত করা হচ্ছে।
জেএন/এমআর