মোখার প্রভাবে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি উঠেছিল ১৪৭ কি.

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটারে (প্রতি ঘণ্টায়) উঠেছিল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আসাদুর রহমান।

- Advertisement -

রোববার (১৪ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

- Advertisement -google news follower

উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, আমাদের বামে রেখে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ যেদিক দিয়ে গেছে ওই এলাকার প্রেশার ফল করেছে। এটার প্রেশার রাইজ না হওয়া পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে। ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল অংশ অতিক্রম করা মানেই তাণ্ডব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। অগ্রভাগ সকাল বা শেষ রাতের দিকে অতিক্রম করেছে তেমনি শেষ ভাগ যেতেও সময় লাগবে। সব মিলিয়ে এটা শেষ হতে মোটামুটি সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।

তিনি বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ প্রভাবে আজ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে উপকূলীয় এলাকা সেন্টমার্টিনে বাতাসের
সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটারে উঠেছিল। সেখানকার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছে, তারা দূর থেকে ঘর বাড়ি উড়ে যেতে এবং গাছপালা পড়ে যেতে দেখেছেন। তাদের মতে অনেক ক্ষয় ক্ষতি সেখানে হয়েছে। সেখানে এখনও তাণ্ডব চলছে।

- Advertisement -islamibank

তিনি আরও বলেন, টেকনাফে সকাল ১১টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। আর সেন্টমার্টিনে বেলা ১টার সময় ১০০ কিলোমিটার বেগে, ২টায় ১২১ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। ২টা ২০ মিনিটে ১১৫ কিলোমিটার বেগে এবং ঠিক আড়াইটায় ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। যা এখনও অব্যাহত আছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM