স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. তোফায়েল আহমেদকে দীর্ঘ ২৪ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (১৪ মে) রাত আগাইটার সময় ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর এলাকায় নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মো. তোফায়েল আহমেদ ফটিকছড়ির মৃত নুরুজ্জামান ছেলে।
জানা যায়, গত ১৯৯৯ সালের ১৩ জুন ফটিকছড়ি থানাধীন দৌলতপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে মো. তোফায়েল আহমেদ।
হত্যার ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই মো. জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহত ভিকটিমের স্বামী মো. তোফয়েল আহমেদকে আসামী করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা পরবর্তী সময়ে উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী মো. তোফায়েল আহমেদ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। জামিনে মুক্তি নিয়ে আদালতে কোন হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়ে যান আসামী। পলাতক থাকা অবস্থায় আদালত আসামীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে নিহত ভিকটিমের স্বামী তোফায়েল আহমেদ’কে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এবং গত ২০১৬ সালে মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ মে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত, চট্টগ্রাম মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত মামলার আসামী তোফায়েল আহমেদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ছাড়াও বিজ্ঞ আদালত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
র্যাব-৭ জানায়, গোয়েন্দা নজরদারী এবং তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে জানতে পারে যে, হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত একমাত্র আসামী মো. তোফায়েল আহমেদ দীর্ঘদিন বিভিন্ন জায়গায় পলাতক থাকার পর বর্তমানে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানাধীন বাবুনগর এলাকায় নিজ বাসা বাড়িতে অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নিজ স্ত্রীকে হত্যা করার কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/হিমেল/পিআর