কাতার ইকোনোমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার জন্য দোহা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২২ থেকে ২৪ মে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
একই সঙ্গে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আলে সানির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। এর গত মার্চে এলডিসি৫ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কাতারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে একটি সূত্র জানায়, কাতারের আমিরের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ওই সফরে যাচ্ছেন। ব্লুমবার্গের সঙ্গে যৌথভাবে কাতার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
কাতারের আমিরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে কী আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে একাধিক সূত্র জানায় যে এটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক। ফলে সাবস্ট্যানটিভ আলোচনার সুযোগ কম।
এরমধ্যে কাতারের আমিরকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ, জ্বালানি সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং অভিবাসন নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা আছে।
একটি সূত্র জানায় যে কাতারের আমির এ বছর বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আশা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তার আসার বিষয়টি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেবেন।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা : গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে দুইদেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়।
এ বিষয়ে একটি সূত্র জানায়, ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ১,২০০ বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর সদস্য কাতারে গিয়ে কাতার সামরিক বাহিনীতে কাজ করবে।
তিনি বলেন যে একই ধরনের চুক্তি কুয়েতের সঙ্গেও আমাদের আছে। কুয়েতে প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর সদস্য কাজ করে।
কাতারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশের কূটনীতিতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি হওয়ার আগেই নৌবাহিনীর ১০০ সদস্য কাতারে গিয়ে কাজ করছে।
জেএন/পিআর