গেল এপ্রিল মাসের শুরু থেকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে মে মাসে এসে সে একই পেঁয়াজের দর উঠেছে কেজিতে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। অর্থাৎ দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
পেঁয়াজের এমন লাগাম ছাড়া ছুটাছুটি নিয়ন্ত্রণে আবারও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। শিগগিরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
রবিবার (১৪ মে) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এই আভাস দেন।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও মজুত বিবেচনায় দেশে এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। দাম বাড়তে থাকলে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। এক মাস আগে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি।
বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০-৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়।
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। সে হিসেবে পেঁয়াজ সংকট হওয়ার কথা নয়। কারণ মৌসুম শুরুর আগে চলতি অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত ছিল। দেশে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ টন পেঁয়াজ এসেছে।
জেএন/পিআর