গমের দাম কমেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। খাদ্যপণ্যটির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, প্রত্যাশার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র কম সরবরাহের পূর্বাভাস দেয়ায় কয়েক দিন ধরে গমের দর বাড়ছিল। তবে কৃষ্ণসাগর বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আলোচনা চলছে। এতে খাদ্যপণ্যটির দরপতন ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) সবচেয়ে সক্রিয় গমের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি বুশেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৬ ডলার ৫৬ সেন্টে। আগের কার্যদিবসে (সোমবার) ভোগ্যপণ্যটির দর বেড়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে যা সর্বোচ্চ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস দিয়েছিল, ১৯৫৭ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র খরায় গমের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। মজুত ১৬ বছরের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল বাজারে।
কৃষ্ণসাগর বন্দর দিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ১৮ মে। ইতোমধ্যে সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে মস্কো।
ক্রেতাদের উদ্দেশে লেখা এক নোটে পিক ট্রেডিং রিসার্চ জানিয়েছে, আবারও কৃষ্ণসাগর খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি শিরোনাম হয়েছে। তাই এখন ব্যবসায়ীরা ইউএস আবহাওয়া এবং ব্রাজিলের রপ্তানি মূল্যের দিকে নজর দিচ্ছেন।
জেএন/পিআর