কক্সবাজার শহরে ‘আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনের’ এক কর্মকর্তা স্ত্রীসহ আটক হয়েছেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ আঞ্চলিক কার্যালয়ের এসআই তুন্তু মনি চাকমা জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় শহরের কলাতলী মোড়ে একটি পরিবহনের কাউন্টারে অভিযান চালানো হয়।
আটকরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সমেশপুর মন্ডলবাড়ী এলাকার মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম (৪৭) এবং তার স্ত্রী মলিনা পাশা (৪৪)।
রেজাউল করিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলিখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পে এসআই পদে কর্মরত বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এক এপিবিএন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এসআই তুন্তু মনি বলেন, শুক্রবার রাতে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্য মাদকের একটি চালান নিয়ে পরিবহনযোগে ঢাকা রওনা দেওয়ার খবর পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ দল সন্দেহজনক এপিবিএন পুলিশ সদস্যের গতিবিধি নজরদারি অব্যাহত রাখে বলে জানান তিনি।
“এক পর্যায়ে রাত সোয়া ১০টায় শহরের কলাতলী মোড়ে গ্রীণ লাইন পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টারে রেজাউলের সস্ত্রীক অবস্থানের খবর পায়। পরে অভিযান চালিয়ে বাস কাউন্টার থেকে দুইজনকে আটক করা হয়।
“তাদের সঙ্গে রাখা তালাবদ্ধ ব্যাগ খুলে ২০ হাজার ইয়াবা ও একটি ওয়াকিটকি পাওয়া যায়।”
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, “আটক ব্যক্তি এপিবিএন পুলিশের সদস্য কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এপিবিএন পুলিশের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) হাসান বারী নুরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সাড়া দেননি।
তবে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলিখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, “ইয়াবাসহ সস্ত্রীক আটক ব্যক্তি এপিবিএনের সদস্য।”
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসআই তুন্তু মনি চাকমা।
জেএন/এমআর