চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয় ১৭ মে। ওইদিনই সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা তার ছেলে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ‘উত্তীর্ণ’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এমনকি মেধাতালিকায় ছেলের অবস্থান এবং কোটার অবস্থানও উল্লেখ করেন তিনি। ফলাফল প্রকাশ না হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা কীভাবে ফলাফল পেলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পোস্ট দেওয়া ওই কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট শাখায় উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত।
রোববার (২১ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছেলের চান্স পাওয়ার বিষয়টি জানান মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার ছেলে আবীর চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের A Unit (সায়েন্স ফ্যাকাল্টি) ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৬৯৬ এবং কোটাতালিকায় তৃতীয় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।’
তার এ পোস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে খোঁজ করে ফলাফল পাওয়া যায়নি। এমনকি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। এ নিয়ে সমালোচনার পর পোস্টটি মুছে ফেলেছেন ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, তার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই ফলাফল পেয়েছেন। পরে ওয়েবসাইটে ফলাফল না পেয়ে কিছুক্ষণ পর আবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। আজ রাতে প্রকাশ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। ওই কর্মকর্তা কীভাবে রেজাল্ট পেলেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। আর যদি কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে ইউনিট কো- অর্ডিনেটর জানতে পারবেন। আমাদের কাছে রেজাল্ট আসে, আমরা তা প্রকাশ করি।’
‘এ’ ইউনিটের জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা বলেন, ‘প্রকাশ হওয়ার আগে ফলাফল জানতে পারার কথা না। উনি কীভাবে জানতে পারলেন এ বিষয়ে আমি জানি না। এখানে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকার কথা নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ফলাফল প্রকাশের আগে তা জানার এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কারোর নেই। সেক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তা যদি জেনে থাকেন এবং তা প্রকাশ করেন এটি অন্যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।
জেএন/এমআর