দেশজুড়ে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে বাজারে অস্তিরতা শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় সরকার কঠোর পদেক্ষেপ গ্রহণ করে। সিদ্ধান্ত নেয় আমদানির।
অবশেষে বাণিজ্যমন্ত্রী আমদানির ঘোষণায় দরপতন শুরু হয়েছে পেঁয়াজের। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেও কমতে শুরু করেছে অতি আবশ্যকীয় এ পণ্য।
কৃষকদের সুরক্ষা দিতে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া বন্ধ রয়েছে। এ মাসের শুরুতে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে খাতুনগঞ্জ পাইকারি মোকামে পেঁয়াজের দর ওঠে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা। তখন খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৮০ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ও এক সপ্তাহ আগে জানায়, দাম কমাতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে।
এ খবর চাউর হতেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করে। প্রথমে উত্তরের জেলা পাবনা, এরপর দিনাজপুরের হিলি এবং সবশেষে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেও পেঁয়াজের দাম কমাতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
গতকাল রবিবার (২১ মে) খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হয়। সেই হিসাবে কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা কমেছে পাইকারি বাজারে।
পেঁয়াজের আমদানির খবরে উত্তরের জেলা পাবনায় প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫শ টাকা। শুক্রবার (১৯ মে) প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৯শ টাকা দরে। পরদিন শনিবার (২০ মে) সেই পেঁয়াজ প্রতি মণ বিক্রি হয় দুই হাজার ৪০০ টাকা দরে।
এদিকে দিনাজপুরের হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দুই দিন পূর্বে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে পেঁয়াজের দামের এমন উঠানামাকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
জেএন/পিআর