সদ্য ঘোষিত দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ভোলার ইলিশা-১ গ্যাস ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে বাপেক্স।
সোমবার (২২ মে) রাত থেকে এ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তা চলবে দুই/তিন দিন।
এরপর খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব বলে নিশ্চিত হয়েছে বাপেক্স।
এখানে মোট মজুদের পরিমাণ ২০০ বিসিএফ বা তার একটু বেশি।
প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন বা তার চেয়ে কম বেশি উত্তোলন করা হলেও তা চলবে প্রায় ২৬ বছর।
বাপেক্সের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসে ভাসছে দ্বীপজেলা ভোলা। ভূ-তাত্ত্বিক জরিপে একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মিলছে। এখন পর্যন্ত তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। যার সূত্র ধরেই নয়টি কূপ খনন হয়েছে। প্রত্যেক কূপেই সফলভাবে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। আরও পাঁচটি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের। শুধু তাই নয়, নতুন আরও একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হতে পারে এ জেলায়। সেটি হলে কূপ খননের সংখ্যা আরও বাড়বে। এছাড়াও চরফ্যাশন ও মনপুরায় গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে জরিপ করবে বাপেক্স।
বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নতুন ক্ষেত্রের গ্যাস উৎপাদন শুরু করা হয়েছে, এটি চলবে আরও দুই/তিন দিন। আরও নতুন পাঁচটি কূপ খননের অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুরে দুটি গ্যাস ক্ষেত্র, ভোলা নর্থ দুটি ও ইলিশায় একটি। আরও গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ করবে বাপেক্স।
জেএন/এমআর